এস এম রাজা:
দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প ঈশ্বরদীর পাকশী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ইউনিট-১ এর মূল রিয়্যাক্টর ভবনের তৃতীয় ধাপের কংক্রিট ঢালাই কাজ গত ১৮ জুন’২০ বৃহস্পতিবার রাতে উদ্বোধন করা হয়েছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে ভয়াবহ করোনা পরিস্হিতির মধেই শুরু হওয়া একাজ টানা ৪০ ঘন্টা ধারাবাহিকভাবে চলবে। কনক্রিট ঢালাইয়ে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমান ও ডিজাইন ডকুমেন্টশন অনুযায়ী কাজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য রাশিয়ার জেনারেল কন্ট্রাকটর ‘এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট’ এবং প্রকল্পের বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী রোষ্টার করে তদারকি করছেন।রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বৃহস্পতিবার রাত হতে ইউনিট-১ এর মূল রিয়্যাক্টর ভবনের তৃতীয় ধাপের কংক্রিট ঢালাই কাজর শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ধাপে ২০ মিটার হতে ৩৪.৫ মিটার উচ্চতার ঢালাই কাজ দীর্ঘ ৪০ ঘন্টা ব্যাপী ধারাবাহিকভাবে চলবে। ঢালাই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ইতোমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিজাইন প্রস্তুতকারী রাশান সাব-ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই কাজের ব্যবস্থাপনা ও তদারিক করছেন। এছাড়াও রাশিয়ার জেনারেল কন্ট্রাকটর ‘এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট’ এবং প্রকল্পের বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা রোষ্টার করে কাজের তদারকিতে নিয়োজিত রয়েছেন। কংক্রিট ঢালাই কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর গুণগতমানও এই বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মনিটরিং করছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রণিত ডিজাইন ডকুমেন্টেশনের আলোকে যথাযথভাবে ঢালাই কাজ চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির থার্ড প্লাস জেনারেশনের ভিভিইআর ১২০০ মডেলের দু’টি রিয়্যাক্টর রূপপুর প্রকল্পে স্থাপন করা হবে। একই সাথে দুই ইউনিটের নির্মাণ কাজ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চলতে থাকবে । সিডিউল অনুযায়ী ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট এবং এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানানো হয়েছে।