সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোগদখলীয় জমিতে খাল কেটে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন
এস এম রাজা।। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোগ দখলীয় নিজ মালিকানাধীন জমিতে খাল কেটে প্রায় ২০ লাক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ করা হয়েছে পাবনার এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার বিকেলে দাশুড়িয়ায় জেএসকেএফ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ’অভিযোগ করা হয়।
জমির মালিক প্রবাসী আশরাফ আলী দেশের বাইরে থাকায় তার ভাগনা মোঃ নাফিস আহমেদ আরিফ লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করে আরো বলেন ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনসিদ পুর মৌজার ৭৩ নং খতিয়ানের এস এ দাগ নং ২৩৫ ও আর এস দাগ নং ২২১ জমির পরিমাণ ৯৬ শতাংশ। যা নিজস্ব দলিল মূলে ক্রয় করা ও ভোগ- দখলকৃত বাণিজ্যিক ভূমি। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয় যে সরকারি খাল খনন করতে গিয়ে আশরাফ আলীর মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধ ও জোরপূর্বক কাজ শুরু করে। বিষয়টি এখনও পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিকভাবে জানানো হয়নি। খাল খননের বিষয়টি জানতে পেরে খাল খনন কারী ব্যাক্তিদের খাল কাটা বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্বেয়ার নিয়ে আসে এবং আশরাফ এর পক্ষে আশরাফ আলীর ভাগিনা সার্বেয়ার এনে যৌথভাবে মেপে খুটি পুঁতে রশি টানিয়ে দেয়া হয়। সে সময় কাজ বন্ধ রাখা হলেও পরবর্তীতে জমির মালিকের অজান্তেই আবার শুরু হয় খাল খনন। এ ঘটনায় পাবনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয় যার নম্বর ১৯/২০১৯। মামলাটি এখনো চলমান আছে। এরপরও মাটিকাটা অব্যাহত রাখা হলে জমির মালিকর পক্ষ থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। মামলা নম্বর ৪৩১/১৯ ঈশ্বরদী। এই ১৪৪ ধারা জারি করার কারণে ঈশ্বরদীর সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল ঘটনাটি তদন্ত করেন। তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে জমির কাগজপত্র নিয়ে পর্যালোচনা করে মালিকানা সঠিক পান তবে জনস্বার্থে খাল খনন করা হচ্ছে বলে এ ব্যাপারে তার কিছু করার নাই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন বলে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিকের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনকারী আরিফ আরো বলেন, খাল খননের ঠিকাদার মারুফ, ভ্যাকুর মালিক মন্টু ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদের যোগসাজশে জমির মধ্যে ২০-২৫ ফুট গভীরতা করে জমির মধ্যে খাল খনন করে বাণিজ্যিক এই জমিটি একেবারে নষ্ট করা হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার আর্থিক ক্ষতি প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও প্রায় তিনশত ট্রাক মাটি খনন করে আশরাফ আলীর জমিতে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। আরও অভিযোগ করা হয় যে এই বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি করার পরও তারা কোন প্রকার পাত্তাই দিচ্ছে না জমির মালিক কে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জোর দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিক আশরাফ আলীর পক্ষে আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আকরাম হোসেন বেলাল হোসেন আলাউদ্দিন আহমেদ মিঠু পরামানিক প্রামানিক শাহিদ হোসেন রিক্ত হসেন মিথুন রহমান সালাউদ্দিন আহমেদ মোহাম্মদ হাসান মোহাম্মদ সাদিক প্রামানিক প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উত্থাপিত অভিযোগ সরজমিনে গিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়।