অনলাইন রিপোর্টঃ অবিলম্বে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা ও দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ঈশ্বরদীতে কর্মরত সাংবাদিকরা এবার পাবনা জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। আজ রোববার(২৮জুন) পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে পাবনার পুলিশ সুপার ও পাবনা প্রেসক্লাবে এ অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করা হয়। সাংবাদিকরা অভিযোগ করে জানান, প্রায় ৫ বছর পূর্বে ঈশ্বরদীতে কর্মরত পেশাদার ও সিনিয়র সাংবাদিকদের বিশেষ কায়দায় ‘আটকে রেখে’ গঠন করা কমিটির মেয়াদ উত্তির্ন হওয়ার ৪ বছর পরও একই কমিটি অবৈধভাবে এখনো বহাল রয়েছে। মেয়াদ উত্তির্ণ এই কমিটি অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা, সাংগঠনিক ধারায় সুষ্ঠ নির্বাচন ও কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্যরা। এর আগে একই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিহাব রায়হানের নিকট লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন প্রেসক্লাবের বর্তমান ও সাবেক নের্তৃবৃন্দসহ ক্লাবের স্থায়ী সদস্যবৃন্দ।
অভিযোগপত্রের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ও ঈশ্বরদী থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ মোঃ নাসীর উদ্দীনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপে জোরপূর্বকভাবে সাংবাদিকদের বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। তাদের অনিয়মতান্ত্রিক কার্যকলাপ ও বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে ঈশ্বরদীতে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি/নিজস্ব সংবাদদাতা ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকরা দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবত প্রেসক্লাব বিমুখ। এ কারণে ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাবের মান চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। প্রকৃত সাংবাদিকদের ঐক্য নষ্ট হওয়ায় ঈশ্বরদীতে সুষ্ঠ সাংবাদিকতার পরিবেশও এখন নেই। সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন ব্যাক্তিদের অবাধ বিচরনের কারণে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব কার্যত: অগ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের অচলাবস্থা নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, সিনিয়র সাংবাদিক মাহাবুবুল হক দুদু, সেলিম সরদার, ওয়াহেদ আলী সিন্টু, জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।