মো: ইয়াছিন শেখ ঈশ্বরদী পাবনা প্রতিনিধি : রাজা বাবু আর বাদশা পাবনাতে সেরা, দাবি করেছেন তার মালিক রিয়াজুল ইসলাম ফকির। তিনি দাবি করে বলেন, এই জেলায় রাজা বাবু ও বাদশার চেয়ে সু-দর্শন ও বড় গরু নেই। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রস্তত করা হয়েছে কোরবানির পশু। খামারিরা শেষ মুহুর্তে পশুগুলোকে যতœ নিচ্ছেন। কেউবা আবার বিক্রির জন্য দাম হাঁকছেন।পশুর আকার ও ওজন দেখে হচ্ছে দামের কম-বেশি। যার গরু সবচেয়ে বড় ও ওজনে বেশি তার গরুর দাম বেশি। সবেচেয়ে বড় ও দাম বেশি এ গরু দেখতে প্রতিবার কোরবানিতে থাকে দেশবাসীর আগ্রহ।
এবার দেশবাসীর সে আগ্রহ পূরণ করছে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার চর-মিরকামাড়ি গ্রামে দো আঁশলা সিন্ধি জাতের দুইটি গরু। যেমন দেখতে তেমনি তার নাম, একটির নাম রাজা বাবু, অপরটির নাম বাদশা। রাজা বাবুর ওজন প্রায় ২০ মণ,বাদশার ওজন প্রায় ১৮ মণ।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারি রিয়াজুল ইসলাম ফকির, গরু দুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ২০ লাখ টাকা। এই গরু দুটিই পাবনা জেলার মধ্যে সবচাইতে বড় আকারের ও বেশি ওজনের গরু বলে দাবি তার।
এলাকার লোকজন বলেন, তাদের জানা মতে এই গরুটিই আকার ও ওজনের দিক থেকে পাবনা জেলার মধ্যে এই দুইটা সবচেয়ে বড় গরু।
খামারি রিয়াজুল ইসলাম ফকির জানান, তিন বছর আগে পাবনা উপজেলার সিটি হাট থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে তিনি ক্রয় করেছিলেন। এই গরু দুটি দো আঁশলা সিন্ধি জাতের গরু। তিন বছর লালন-পালনের পর এবার কোরবানি ঈদের সময় গরু দুটির ওজন রাজা বাবুর ওজন প্রায় ২০ মণ, বাদশার ওজন প্রায় ১৮ মণ।
খামারি রিয়াজুল ইসলাম ফকিরের স্ত্রী বলেন, বিশাল আকারের এই গরুটির পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। তারপরও তিনি এই গরু দুইটাকে তার সন্তানের মতো করে লালন পালন করেছেন। দিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ বার গোসল করাতে হয়। সারাদিন বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে হয়। বিদ্যুতের প্রবাহ বন্ধ থাকলে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হয়। সারাদিনই প্রায় এই গরুটির যতœ করতে হয়।
তিনি আরো বলেন যে, আমি আশা করছি এখন বাড়ি থেকেই যেন গরুটি ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা যায়।
খামারি রিয়াজুল ইসলাম ফকিরের বড় ভাই মোঃ জামরুল ইসলাম ফকির জানান, তার ছোট ভাই খামারি রিয়াজুল ইসলাম ফকির ও তার স্ত্রী তাদের এই গরু দুটিকে খুব যতœ সহকারে লালন পালন করেছে। এমন সময় সে দেখেছে যে, তার ছোট ভাই ও ছোটভাইয়ের স্ত্রী তাদের নিজের খাবার গরুকে দিয়েছে এটা দেখে সে তাদেরকে প্রশ্ন করলে তারা বলতো যে রাজা বাদশা খেলেই হবে।
তিনি আরো জানান, গরু দুটি দেখতেও রাজা বাদশার মতো, খায়ও তেমনি মতো। এ কারণে তিনি গরু দুটির নাম রেখেছেন রাজাবাবু ও বাদশা।
খামারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, গরু দুটি প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকার খাবার খায়। গরুটির খাবারের তালিকায় আছে, কলা, মাল্টা, কমলালেবু, চিড়া, চিটাগুড়, শুকনা খড়, কাঁচা ঘাস, ছোলা, ভূষি ইত্যাদি। পাবনা জেলার প্রানী সম্পদ বিভাগের প্রধান জানান, সব চেয়ে বড় গরুর তালিকা আমাদের কাছে নেই। রিয়াজুল ইসলাম ফকির যদি দাবি করে থাকেন, সেটা মিথ্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এসব ব্যাপারে উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা ভাল বলতে পারবেন।