পাবনার ঈশ্বরদীতে দিনে-দুপুরে মুক্তি খাতুন রিতা (২৮) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে ঈশ্বরদী পৌরসভার মশুড়িয়াপাড়া এলাকার নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রিতাকে হত্যার পর তার শাশুড়ি নিলিমা খাতুন বেনুকেও (৫২) শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে জানা গেছে। ওই সময় তিনি চিৎকার করলে হত্যাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যান। হত্যাকারীরা পাঁচজন যুবক ছিলেন বলে জানিয়েছেন নিলিমা খাতুন বেনু।
তিনি জানান, তার ছেলে বায়োজিদ সারোয়ার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে চাকরি করেন। বায়োজিদ সারোয়ার বেশ কিছু মানুষকে সেখানে চাকরিও দিয়েছে। বাড়িতে মাঝেমধ্যেই নানা ধরনের মানুষ আসা যাওয়া করত।
দুপুর ১২টার দিকে পাঁচজন যুবক চাকরির জন্য তার বাড়িতে আসে। ছেলে বায়োজিদ সেই সময় বাজারে থাকায় ড্রইংরুমে বসিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন পুত্রবধূ মুক্তি খাতুন রিতা। সে সময় তিনি তার ঘরে কোরআন পড়ছিলেন। হঠাৎ হত্যাকারীরা তার ঘরে ঢুকে গলা টিপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি পুত্রবধূর ঘরে গিয়ে তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত রিতার স্বামী বায়োজিদ সারোয়ার জানান, তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাংলা পাওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করেন। রূপপুর প্রকল্পে চাকরির জন্য কিছু যুবক বাড়িতে আসবে তাই বাজারে গিয়েছিলেন বাজার করতে। মোবাইলে জানতে পারেন স্ত্রীকে তারা হত্যা করে পালিয়েছে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, অনেকগুলো বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি।