চাঁদা দাবীর ঘটনার রহস্য উৎঘাটন
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
গত-০২/০৬/২০২১ তারিখ রাত্র ০৮.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা সাভার বাসস্টান্ড হইতে পরিবহন যোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার দেখার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন আক্তার হোসেন এবং তাহার সংগীয় শাহীন ও রাজিব। তাহারা ইং-০৩/০৬/২১ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া বাস স্টান্ডে নামিয়া সকালের নাস্তা শেষে সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় তাহার ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল যোগে টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। মটর সাইকেল চালকরুপি অপহরনকারী চাঁদাবাজ রেজাউল আগান্তুকদের টুঙ্গীপাড়া চেনা না থাকায় তাহাদের টুঙ্গীপাড়ায় না নিয়া দুপুর ১২.১৫ ঘটিকার সময় জয়ডিহি ফাঁকা মাঠের দিকে জনৈক সিংগাল টিকাদার এর মাছের ঘেরের পাড়ে নিয়া যায়। সেখানে মটর সাইকেল চালকের সংগীয় আরও তিন জন ছিল। সেখানে নিয়া যাইয়া তাহাদের হাত পা বাধিয়া ভয়ভীতি দেখাইয়া মারপিট শুরু করে এবং তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাহাদের কাছে থাকা হাত খরচের নগদ ৫০০০/-টাকা কাড়িয়া নেয় এবং চাঁদার টাকার জন্য মারপিট শুরু করে। তখন ভিকটিমগন বাধ্য হইয়া তাহাদের নিজেদের পরিবারের নিকট মোবাইল করিয়া মোবাইল ব্যাংকিং নগদ ও বিকাশ এর মাধ্যমে মোট ৪৫০০০/-(পয়তাল্লিশ হাজার) টাকা নিয়া আসে। এরপর খুন জখমের হুমকি দিয়া বাকি চাঁদার টাকা দেওয়ার জন্য লোহার রড দিয়া এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিতে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোল্লাহাট থানা পুলিশ বিষয়টি জানিতে পারিয়া জরুরী ডিউটিতে নিয়োজিত এস,আই/মঞ্জুরুল হক এর নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌছাইলে পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া আসামীরা ভিকটিমদের রাখিয়া পালাইয়া যায়। পরবর্তীতে উল্লেখিত ঘটনায় মোল্লাহাট থানায় একটি মামলা রুজু হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ইং-০৬/০৬/২১ তারিখ মোল্লাহাট থানার চৌকস পুলিশ টিম চাঁদাবাজির ঘটনায় জাড়িত আসামী সুদীপ্ত ঢালী, পিতা-নোনিগোপাল ঢালী, সাং-চরকুলিয়া, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাটকে গ্রেফতার করে। আসামী সুদীপ্ত ঢালী বিজ্ঞ আদালতে তাহার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। ইং-২৬/০৮/২০২১ তারিখ মোল্লাহাট থানার চৌকস টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করিয়া এই মামলার মুল আসামী নয়ন মিয়া (২৪) পিতা-সাইদ মিয়া, সাং-কাহালপুর, থানা-মোল্লাহাট, জেলা-বাগেরহাটকে গ্রেফতার করে। আসামী নয়ন মিয়া বিজ্ঞ আদালতে তাহার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে।