বিজয়ের মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টুকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন মুক্তিযোদ্ধার।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঈশ্বরদী শহরে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের থানাপাড়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঈশ্বরদীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু ও তাঁর পরিবারর উপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা ফজলুর রহমানের গলাটিপে লাঞ্ছিত করে। প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এসময় বক্তব্য দেন শহিদুজ্জামান নাসিম, নজরুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল ইসলাম রফিক, আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস, আকরাম হোসেন খান, আবু তাহের বকুল, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি মতিউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক মাহাবুবুল হক, সেলিম সরদার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আবুল কালাম, প্রিন্স রহমান, সজিব প্রামাণিক, আনোয়ারুল ইসলাম রতন প্রমুখ।
সময়সীমা বেধে দিয়ে বক্তারা বলেন, দুইদিনের মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করলে আগামী রোববার ঈশ্বরদী শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হবে।
ফজলুর রহমান ফান্টূ জানান, তাঁর এলাকার আলতাফ হোসেন ও রিপন হোসেনের সংগে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যক্তিগত ইস্যু আলতাফ হোসেন, রিপনসহ তাঁর পক্ষের লোকজন তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তাঁর (ফান্টূর) উপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে তাঁর গলাটিপে ধরলে তিনি আহত হন
অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন ও রিপনের সংগে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন। রিপন বলেন, হামলার বিষয়টি ঠিক না। তবে তর্কাতর্কি হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।