ঈশ্বরদীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় সঙ্গবদ্ধ ৪ ডাকাত অস্ত্র ও প্রাইভেট কারসহ আটক
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ঈশ্বরদীতে সঙ্গবদ্ধ ৪ ডাকাত অস্ত্র ও প্রাইভেট কারসহ আটক হয়েছে। রবিবার দিবাগত গভীর রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় মুলাডুলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আড়পাড়া বটতলা এলাকায় এলাকাবাসী ডকাতদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃত ডাকাতদরা জনি আহম্মদ (২৭), মাহাবুব (৪০), বাচ্চু (২৭) ও রকি (২৬)। এরা সকলেই কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা বলে থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ নিশ্চিত করেছে। এদের সাথে সংশিষ্ঠ আরও ৫-৭ জন পালিয়ে যায় বলে ওসি জানিয়েছে।
এলাকার ইউপি সদস্য তারা মালিথা ও এলাকাবাসীরা জানান, এলাকায় গরু চুরির কারণে কিছুদিন যাবত এলাকাবাসী রাতে পাহারার ব্যবস্থা করে। ওই রাতেও প্রায় ১৭জন পাহারায় ছিল। পাহারারত গ্রামবাসীরা দেখতে পায় রবিবার দিবাগত গভীর রাতে রাজাপুর বাজার হতে একটি কালো প্রাইভেট কার মুলাডুলি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আড়পাড়া বটতলা এলাকায় এসে থামে। এসময় ডাকাত চক্রের এক সদস্য গাড়ী থেকে নেমে চারিপাশ দেখতে থাকে। তাদের চলাচল সন্দেহ মূলক ও অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে তাদের গাড়ীর গতিরোধ করে এবং চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকে। এতে গ্রামবাসীসহ অন্যান্য পাহারাদাররা এগিয়ে এসে তাদের প্রশ্ন করতে থাকেন। এসময়ও কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় ডাকাত দল বলতেই একজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এই অবস্থায় ৪ সদস্যকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এলাকাবাসী মুরাদ হোসেন জানান,মসলেম উদ্দিন প্রাং এর বাড়ির সামনে আর পারা মোর থেকে মুকরামপুর রোডে দাড়ালে পাহারাদাররা সন্দেহের পর তাদের গাড়ী তলাশী করলে মধ্যযুগীয় অস্ত্র এবং একসেট অটো চাবি পাওয়া যায়। এসময় গ্রামবাসী ডাকাতদের মারধর এবং ব্যবহৃত কালো প্রাইভেট কার (কুষ্টিয়া গ-১১০০০২) ভেঙ্গে ফেলে।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম এবং এসআই মুকুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় ডাকাত সদস্যদের ৪ জনকে আটক করে। প্রকৃতপক্ষেই এরা সঙ্গবদ্ধ ডাকাত বলে তদন্ত ওসি হাদিউল ইসলাম জানিয়েছে। সোমবার দুপুরে ওসি জানান, এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলা দায়েরের পর ডাকাতদের পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।