প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব।
ঈশ্বরদীতে ৪ অক্টোবর, ২০২২ জমে উঠেছে শারদীয় দুর্গ্যােৎসব। ঢাকের বাদ্য, উলুধ্বনি, ধূপধোঁয়ায় শঙ্খ-কাঁসার নিনাদে মন্ডপগুলো মুখর করে চলছে বাঙালি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসব।
বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, করোনা কারণে বিগত সময়ের চেয়ে পূজা মন্ডপ গুলোতে এবার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়।
দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রতিটি মন্ডপে ঢাক-ঢোলক-কাঁসর বাজিয়ে কুমারী পূজা, কলাবউ ও আদরিণী উমার সপরিবারে তিথি বিহিত পূজা করা হয়।
শহরের বিভিন্ন স্থানে ও মহল্লায় নবজাগ্রত, দুর্গামন্দিরে আয়োজিত দুর্গোৎসবে মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায় । মন্ডপ গুলোতে দুর্গাদেবীর মহীস্বাশুর বদ করার কাহিনী তুলে ধরেন ঠাকুররা। আইন শৃংখলা বাহিনীর কড়া নজরদারীর মধ্যে ঈশ্বরদীতে এবার ৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা মন্ডপ গুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতাও আগের তুলনায় অনেক বেশি।
বিজয়া দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে এবং সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বাঙালি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আবেগ-আনন্দঘন পর্ব শারদীয় দুর্গোৎসবের। এদিকে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি অরবিন্দ সরকার রোববার রাতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখেন।
শারদীয় দুর্গোৎসব ১০ বছর পূর্তিতে যুব সমাজের পক্ষ থেকে রেনেসাঁ ক্লাব হরে কৃষ্ণ সংঘ মন্দিরের প্রায় ৪০ জন প্রবীনদের সংবর্ধনা ও ক্রেসপ্রদান করলেন হরে কৃষ্ণ সংঘ মন্দিরের যুবসমাজ কর্মীরা, তাদের এই আয়োজনে অনেক খুশি হরে কৃষ্ণ সংঘ মন্দিরের সদস্যরা। সভাপতি বিকাশ কুন্ডু সাধারণ সম্পাদক দিপু বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালায় ছিলেন গোবিন্দ চৌধুরি, সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ছিলেন বিশ্ব, টুটুলগুপ্ত, স্ববণ গুপ্ত,আনন্দ দপ্ত, চন্দন সরকার,সুমন দাস,কনক শাহা,মিল্টন দে,সন্জিব দে,রিদয় দাস,সুমন কুন্ডু,জনি গুপ্তা,আশিক কুন্ডু,শাওন গুপ্তা,সিমান্ত পাল,মহন্ত পাল,পরে কেট কেটে অনুষ্ঠানে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।