বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য দলের ঐক্যে প্রয়োজনে এমপি পদ চাইবো না —–মেয়র মোখলেসুর রহমান বাবলু।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহব্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পৌর মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি পাবনা-৪ আসনে বিএনপি’র বিজয় সুসংহত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহব্বান জানান।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে আমি ও আমার অপর দুই ভাইসহ ৯ জনকে ফাঁসির দন্ডাদেশ, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে ১০ বছরের সাজা দেওয়ায় আমরা ৪৭ জন সহযোদ্ধা নেতাকর্মী কারাগারে বন্দী থাকার কারণে ঈশ্বরদীবাসীর পাশে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছরের অধিক সময় থাকতে পারি নাই। গত ১১ই ফেব্রুয়ারী মহামান্য হাইকোর্টের রায়ে বেকসুর খালাস পেয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। কারামুক্ত হয়ে ঈশ্বরদীর মাটিতে যখন পদার্পণ করে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ওইদিন আমরা সকলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ঈশ্বরদীকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে রাজনৈতিক পরিকল্পনাগুলোকে সার্বজনীন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমি, হাবিব ভাই ও পিন্টু কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করে যাবো। ঈশ্বরদীর শান্তি শৃঙ্খলা রায় সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবো। আমি বিশ্বাস করি ঐক্যই আমাদের বড় শক্তি। রাজনীতিতে মতভেদ থাকবে, মনোমালিন্য থাকবে, থাকবে যুক্তিতর্ক ও নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সেদিন আমরা ৩ জন হাতে হাত ধরে যে ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছিলাম তা দেখে ঈশ্বরদীর মানুষ আশায় বুক বেঁধেছিলেন, আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়েছিলেন। প্রায় তিন যুগ পর এবার হয়তো তাদের হারানো সংসদীয় আসন ফিরে পাবো।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু অতি সম্প্রতি অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ড বা আচরণ ঈশ্বরদীর মানুষকে ভাবিত করেছে, হতাশ করেছে। যা এখনই পরিসমাপ্তি জরুরী। আশা করি আমাদের ধৈর্য্য ও সহনশীল আচরণের মাধ্যমে গত ১১ ফেব্রুয়ারী তারিখে গণসংবর্ধনায় দেওয়া আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা পাবে। গত ঈদুল আজহার পূর্বে হাইকমান্ড থেকে হাবিব ভাই ও পিন্টুসহ আমাকে ঢাকায় ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক আলোচনার পর আমি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বলেছিলাম, আমার আর দলের কাছে চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। দল এবং ঈশ্বরদীর মানুষ তিন বার প্রায় ১৮ বছর আমাকে ঈশ্বরদী পৌরসভার দায়িত্ব পালন করার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে অঙ্গীকার করেছি দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা চাইবো না। এমনকি দল যদি মনে করে আমাকে পৌরসভা নির্বাচনেও প্রার্থীতা ত্যাগ করতে হবে সেখানেও আমার কোনো আপত্তি নাই।
সেই বৈঠকে আমি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে বলেছি, বিগত নির্বাচনগুলোতে যে সমস্ত কারণে ফলাফল আমরা ঘরে তুলতে পারিনি। সেইসব বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে আসন্ন নির্বাচনে দলের মধ্যে বিভাজন দূর করে আমরা আমাদের “মা জননী “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া তথা পাবনা-৪ আসনটি উপহার দিতে চাই।
এসব প্রতিশ্রুতিগুলোকে সামনে রেখে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলে সকলকে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমরা নিজেদের মধ্যে বিভেদ ও অনৈক্য দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হোসেন ডাবলু, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ভাষা প্রামানিক,আব্দুল জব্বার, সাবেক সহ-সভাপতি, পৌর বিএনপি, ঈশ্বরদী, তুহিন চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদল, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি প্রয়াত নেফাউর রহমান রাজুর সহধর্মিনী খাদিজা আক্তার নিপা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালযের সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহিন, তুহিন বিন সিদ্দিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদল, হাবিবুর রহমান হবি, সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপি, সিদ্দিকুর রহমান মিলন, সাবেক আহ্বায়ক, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপি, রোকেয়া সুলতানা, সভানেত্রী, ঈশ্বরদী পৌর মহিলা দল, শাহিনা আক্তার, সিনিয়র সহ-সভাপতি, শিরিনা আক্তার, সহ-সভাপতি,
আফরোজা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক, ঈশ্বরদী পৌর মহিলা দল, নিপা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক, বরকত উল্লাহ বরকত, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, রফিকুল ইসলাম নয়ন, সাবেক মেয়র প্রার্থী ও সহ-সভাপতি, পাবনা জেলা ছাত্রদল, মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ম আহ্বায়ক, ঈশ্বরদী পৌর যুবদল, এ্যাডভোকেট মো: জিয়াউর রহমান (মনিরুল), আহ্বায়ক, সাহাপুর ইউনিয়ন যুবদল, শরিফুল হক শরিফ, আহ্বায়ক, মুলাডুলি ইউনিয়ন যুবদল, কামাল আক্তারুজ্জামান, আহ্বায়ক, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন যুবদল, আরিফুল আজাদ অনল, যুগ্ম আহ্বায়ক, ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদল ও মুকুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, ঈশ্বরদী পৌর কৃষক দল, বিএনপি, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।।