নির্বাচনি পরবর্তী সহিংসতা গুলিবিদ্ধসহ আহত অনেকেই।
ঈশ্বরদীতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আহত অনেকেই হয়েছে।
গতকাল রাত ৯.৩০মিনিটের সময় চর কুড়ুলিয়ার নছিরের ঘাটে বসে থাকা অবস্থায় অতর্কিত অবস্থায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে পাবনা সদর হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে
গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করেন। এবং কয়েকজনকে পাবনা সদরে ভর্তি করেছেন। আহত হয় অনেকেই তার মধ্যে দুজন গুরুতর আহত, কয়েক জন পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আলম মালিতা এবং নাছিমা গুরুত্ব আহত অবস্থায় ঢাকাতে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী তার চাচাতো ভাই সাগর জানান নছিরের ঘাটে বসেছিল সবাই, অতর্কিত ভাবে হোন্ডা নিয়ে ২০/৩০জন এসে গুলি সহ রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে,কুপিয়ে জখম করে তাড়া দ্রুত পালিয়ে যাই। আহতের চাচাতো ভাই সাগর জানান তরিকুল এবং আসাদুল মেম্বারের লোকজন এসে অতর্কিতভাবে এ হামলা চালায়।
আহতদের ভাই সাগর আরও জানান ৮ নম্বর এবং ৯নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার তরিকুল এবং আসাদুলের সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদেরকে গুরুতর আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে পাবনা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দেন। মো: আলম মালিথা পিতা-নুর মালিথা, নাসিমা আক্তার পিতা বাক্কার জোয়াদ্দার।
আহতরা হলেন বাঁশেরবাঁধা এলাকার চরকুড়ুলিয়া গ্রামের নুরুল মালিথার ছেলে আলম মালিথা(৫০), চরকুড়ুলিয়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে জনি ইসলাম (২৮), চরকুড়ুলিয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে মামুন হোসেন (৩০), শাহ জামাল (৩৬), শফি ঘোষ (৪০)।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, রাতে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধসহ অনেকে আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফিরোজ কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।