কুপিয়ে যখম নিহত শারমিন শিলা
ঈশ্বরদীতে দুর্বৃত্তের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত শারমিন শিলা (৩২) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার স্বামী রানা উর রহমান (৩৬) ও হামলায় অভিযুক্ত সুমন হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনসিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি রামদা জব্দ ও হত্যায় অভিযুক্ত সুমন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। সুমন একই ইউনিয়নের সরাইকান্দি গ্রামের আজগর হোসেনের ছেলে।
আহত রানা উর রহমানকে পাবনা জেলারেল হাসপাতাল ও সুমনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃকালীন ভ্রমণের জন্য গৃহবধূর শ্বশুর হাবিবুর রহমান ও স্বামী রানাসহ পরিবারের তিন সদস্য বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হাটাহাটি করছিলেন। বাড়িটির প্রধান ফটক তখন খোলা ছিল। পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই ফটক দিয়ে হঠাৎ রামদা হাতে সুমন বাড়ির দোতলা প্রবেশ করে ও সেখানে গৃহবধূকে একা পেয়ে রামদা দিয়ে তাঁর মাথা ও ঘাড়ের উপর্যুপরি কোপায়। গৃহবধূ কোপ খেয়ে বাড়ির ছাদে চলে এসে চিৎকার দিতে থাকে। গৃহবধুর আত্মচিৎকার শুনে স্বামী নিচ থেকে ছুটে এলে তাঁকেও কোপ দেয় সুমন। এসময় দুজনার মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় ও রামদার আঘাতে রানার হাত ও শরীর কেটে যায়। তিনি আহত হন। এ অবস্থায় ছাদে দু’জনের মধ্যে কিছু সময় ধস্তাধস্তি চলে। একপর্যায়ে তিনতলার ছাদ থেকে রামদাসহ সুমন নিচে পড়ে আহত হন।
ভীতসন্ত্রস্ত বাড়ির অন্য লোকজনের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ বাড়ির জড়ো হয় ও সুমনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রক্তমাখা রামদা জব্দ। একইসঙ্গে আহত সুমন আটক করে চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স ও রানাকে পাবনা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরপরই ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ঘটনাস্থল ও বাড়িটি পরিদর্শন করেন।
তিনি স্পর্শ নিউজকে জানান, গ্রেপ্তার সুমন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তবে কী কারণে সে খুন করেছে বিষযটি এখনই বলা যাছে না। গৃহবধূর শ্বশুর হাবিবুর রহমান জানান, সুমন তাঁর ছেলের স্ত্রীকে হত্যা করেছে। তিনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।