ঈশ্বরদীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও হরিজন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে সমাবেশ, আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড়ে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভ চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘প্রাইমারি কালচার ডেভলপমেন্ট সেন্টার’ নামে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন।
সমাবেশের পরপরই অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আলোচনা সভা। এতে মূল প্রতিপাদ্য ছিল “মানুষে মানুষে সমতা, জাগ্রত হোক মানবতা।”
অনুষ্ঠানে কলাম লেখক মোশারফ হোসেন মুসার সভাপতিত্বে ও ঈশ্বরদীর সিনিয়র ও সাংস্কৃতিক সংগঠক খোন্দকার মাহাবুবুল হক দুদুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মালিথা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, আ’লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন তুহিন, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কনক আমিরুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্রনেতা ইমরুল কায়েস দারা, সাংবাদিক শেখ মহসীন, হরিজন প্রতিনিধি নরেশ বাসফোর, শিক্ষার্থী মিথিলা রানী প্রমুখ। সাপ্তাহিক ঈশ্বরদী সম্পাদক সেলিম সরদার, ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রিফাজ বিশ্বাস লালন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা শেষে মানুষের মধ্যে ‘জাতগত ভেদাভেদ’ ভুলতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও হরিজন সম্প্রদায়ের ৭০ জন সদস্যের সংগে আয়োজক কমিটির সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথি পাশাপাশি বসে প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অসম্প্রদায়িক চেতনাকে সামনে নিয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। আমরা জানি মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। ভিন্নমত ও পেশার পার্থক্য থাকলেও বিশেষ করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ হরিজনের মধ্যে নেই কোনো জাতিগত পার্থক্য। কিন্তু সমাজের কিছু মানুষ এই পার্থক্য তৈরির চেষ্টা করছেন। এটি থাকাও উচিত নয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ বিষয়টি তুলে ধরতেই এমন আয়োজন।’