চাঞ্চল্যকর মামুন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ০২ (দুই) জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
গত ০৪ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখ রাত্রী ০৮.০০ ঘটিকায় একটি ভটভটি গাড়ীর সহিত মালবাহী পিক আপ গাড়ীর ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভারের পক্ষ হয়ে মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ হৃদয়, মোঃ ইব্রাহিম সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জন ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে উক্ত এলাকায় ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনার সময় একজন ব্যক্তি রিকশা চালক মোঃ মামুন হোসেন (২০)’কে উদ্দেশ্য করে গুলি করলে রিকশা চালক মামুন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এই হত্যার ঘটনায় উক্ত এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে নিহত মামুনের মা বাদী হয়ে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে (মামলা নং মামলা নং-০৪/২০২৩ (ঈশ্বরদী), তারিখঃ ০৬ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিঃ; ধারাঃ ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/ ৩০২/১১৪/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০)।
এরই ধারাবাহিকতায়, অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম অধিনায়ক, র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের নির্দেশনায়, ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ রাত ০৩.১৫ ঘটিকায়, কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোঃ তৌহিদুল মবিন খান ও স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি কিশোর রায় এর নেতৃত্বে র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনা কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ‘‘পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন শৈলপাড়া ১২ (বার) কোয়ার্টার গ্রামে আসামীদ্বয়ের বসতবাড়ীতে’ অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ০২ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেন। যার মামলা নং ৪।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের নামঃ ১। মোঃ কামাল উদ্দিন (৪৮), পিতা-মৃত নূর উদ্দিন @ নুরু, ০২। মোঃ হৃদয় (২৪), পিতা-মোঃ জামাল উদ্দিন, উভয় সাং-শৈলপাড়া ১২ (বার) কোয়ার্টার, থানা-ঈশ্বরদী, জেলা-পাবনা।
গ্রেফতারকৃত হত্যা মামলার আসামীদ্বয়কে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানায়, হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।