এস এম রাজা।। ইচ্ছা থাকলে যে উপায় হয় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের কৃষক মোন্তাজ আলী।
তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম অরফে জোস্ন্যা বেগমের অনুপ্রেরণায় ২০১০ সালে মাত্র ৪ টি কবুতর নিয়ে শুরু করেন কবুতরের ছোট্ট খামার। এরপর শুরু হয় সম্মুখে এগিয়ে চলা। দীর্ঘ ১০ বছরের প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী কবুতর তিনি উৎপাদন করেছেন পর্যায়ক্রমে তার খামারে । সংসারের ব্যায়ভার বহন করার প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত বাজারে বিক্রি করতে হয়েছে শতশত কবুতর। এভাবে হিসেব করে দেখা গেছে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজারেরও অধিক হয়েগেছে তার ছোট্ট খামারে উৎপাদিত কবুতরের সংখ্যা। বর্তমানে নানান অভাব অনটনের মধ্যেও শতাধিক কবুতর রয়েছে তার খামারে। এসব কবুতরের প্রতিদিনের খাদ্য হিসেবে গম,ধান,সরিষা ইত্যাদি খাবার ক্রয় ও চিকিৎসাবাবদ যে পরিমান অর্থ ব্যায় হয় তার যোগান দেয়া মোন্তাজ আলীর পক্ষে একরূপ দূবহ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। একটি কবুতরের পেছনে অনেক টাকা খরচ হয় বিক্রয় উপযোগী করতে । তারপরও এটি লাভ জনক একটি ব্যাবসা। একটি কবুতরের পেছনে বিক্রয় উপযোগী হওয়া পর্যন্ত খরচ হয় ৫০/৬০ টাকা। বিক্রয় হয় প্রতিটি কবুতর ১শ থেকে ১২০ টাকা। । নিজস্ব পর্যাপ্ত পূঁজির অভাবে ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও খামারটি বড় করতে পারছেন না তিনি। আবার সংসারের দৈন্দিন চাহিদা পুরনের জন্য অনেকটা অনিচ্ছা স্বত্বেও মাঝে মধ্যেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে অসংখ্য কবুতর। পশু-পাখি প্রিয় কৃষক মোন্তাজ আলীর ইচ্ছা বড় ধরনের একটি কবুতরের খামার করা। কিন্তু পূঁজির অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না । যদি সরকারী কোন মাধ্যম থেকে প্রাথমিকভাবে লাখ খানেক টাকা ঋণ হিসেবে পেতেন তাহলে তার স্বপ্ন হয়তোবা কিছুটা হলেও পূরণ হতো।এমনই আশাবাদ ব্যাক্ত করলেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেন।