ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক।
উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন ট্রেনের ৩৬টি আসনের টিকেট, ০৭টি মোবাইল ফোন এবং টিকেট বিক্রয়ের নগদ ১৫,০০০/- টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, পাবনা চাটমোহর রেলস্টেশনে শরিফুল সিন্ডিকেটের মূলহোতা শরিফুলের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন যাবত চাটমোহর ষ্টেশন হতে রাজশাহী-ঢাকাগামী “সিল্কসিটি এক্সপ্রেস,পদ্মা এক্সপ্রেস ও ধুমকেতু এক্সপ্রেস খুলনা-ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস, দিনাজপুর টু ঢাকা গামী দ্রæতযান এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত শরিফুল এর নেতৃত্বে তার সহযোগিরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমান যাত্রী,রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিক্সাওয়ালা ও দিনমজুরদেরকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাড় করিয়ে টিকেট সংগ্রহ করে থাকে। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে ০৪ টি করে টিকেট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেয়া হতো। এছাড়াও কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকেট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীদের টিকেট কাটার সময় প্রদেয় এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতো এবং পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দ্বারা ০৪ টি করে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতো। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় শতাধিক টিকেট সংগ্রহ করতো। এছাড়াও ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতারকৃতরা তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডি এর তথ্য ব্যবহার করে টিকেট সংগ্রহ করতো।
গ্রেফতারকৃত আরিফুল, আনিছুর, জলিল, জাহিদুল ও হাবিবদের প্রধান কাজ ছিলো অনলাইন টিকেট প্রত্যাশিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে দর কষা-কষি করে অনলাইন টিকেট গুলো অতিরিক্ত মুল্যে বিক্রয় করা। এভাবে রেলওয়ে যাত্রীসহ সমগ্র রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধ