অনলাইন রিপোর্ট:আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের দাদাপুর পূর্বপাড়া গ্রামে রানী(২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ বাড়ীর পাশের একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্হায় পাওয়াগেছে।সে ঐগ্রামের জসিমউদদীন ফকিরের স্ত্রী ও ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামের আকমল হোসেনের মেয়ে। তার একটি ৩ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
মৃত রানীর পিতা আকমল হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন যে,প্রায় ৫ বছর আগে দাদাপুর গ্রামের খবির উদ্দীনের ছেলে জসিম উদ্দিনের সাথে তার মেয়ে রানীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারনে রানীর স্মামী ও শাশুড়ীসহ পরিবারের লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করতো। এঅবস্হার ভেতরেও অতি কষ্টে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার করছিল।গতকাল আবারও পারিবারিক সমস্যা হয়েছে মর্মে সংবাদ পায়। এ অবস্হায় আজকে সকালে রানী গাছের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সংবাদ দেয়। তিনি সুস্পষ্ট ভাবে অভিযোগ করেছেন যে রানীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গাছের সাথে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।