রেলের উন্নয়নে কাজ করে যাবেন- রেল সচিব
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল বাকি বলেছেন, ‘রেলের এই মুহুর্তে অনুমোদিত অর্গানোজম অনুযায়ী ৪৭ হাজার ৫০০ থাকার কথা থাকলেও আছে ২২ হাজার। নতুন সরকার গঠনের পর এই অর্ধেকেরও কম জনবল নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি রেলকে সাজানোর। যতদ্রুত সম্ভব এগুলো উপস্থাপনের জন্যও আমরা কাজ করছি।’
ঈশ্বরদীতে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেড’ পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অর্ন্তবর্তী সরকার গঠন ও নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল শনিবার ছিল রেল সচিবের পাকশী ও ঈশ্বরদী রেল এলাকা পরিদর্শন কর্মসূচি।
পাকশী পদ্মানদীতে নতুন হার্ডিঞ্জ সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে রেল সচিব বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম আলোচনাতেই উপদেষ্টা মহোদয় এটা কেন হচ্ছে না বলে প্রশ্ন করেন এবং তিনি দ্বিতীয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ র্নিমাণের বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। দ্বিতীয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণে সম্ভাবতা যাচাই করার জন্য এশিয়ান ডেভেলমেন্ট ব্যাংককে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এশিয়ান ডেপেলমেন্ট ব্যাংক আমাদের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। অনেকগুলো প্রকল্প তাদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তারা আরও কিছু প্রকল্পের সম্ভাবতা যাচাই করছে। এই যাচাইয়ের তালিকায় দ্বিতীয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণও ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি অথবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফিজিবিলিটি স্টাডি করার জন্য এশিয়ান ডেভেলমেন্ট ব্যাংককে বলা হয়েছে।
এর আগে রেল সচিব ডিজেল লোকোমোটিখ রানিং সেড পরিদর্শনের পর বাইরে এলে রেলওয়ের ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় এলাকাবাসী ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনে আন্ত:নগর চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রত্যাহার না করা, পূর্বের দুটি ট্রেন ঈশ্বরদীতে ফিরিয়ে আনা, স্টেশন আধুনিকায়ন, ট্রেনের রোগী ও বয়স্ক যাত্রীদের ফুটওভার ব্রিজে ওঠানামার জন্য চলন্ত সিঁড়ি স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবি জানান।
জবাবে রেলসচিব বলেন, চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য তিনি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। একইসঙ্গে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাভজনক করার জন্য সিরাজগঞ্জ স্টেশনের পরিবর্তে ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে অপারেট করা গেলে সেক্ষত্রে লাভের একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে। আমরা এটি বিবেচনায় নেব।
গত শনিবার সকালে শহরের ফতেমোহাম্মদপুরের রেলওয়ে ডিজেল লোকোমোটিভ রানিং সেড, রেলওয়ে ক্যারেজ, ঈশ্বরদী জংসন স্টেশন পরিদর্শন করেন। এ সময় পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মামুনুল ইসলাম, রাজশাহীর চীফ অপারেটিং সুপারিনটেডেন্ট মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ ভুঁঞা, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক, রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজরা (ডিআরএম) শাহ সূফি নুর মোহাম্মদ, ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন, ঈশ্বরদী জংসন স্টেশন সুপারিনটেডেন্ট মহিউল ইসলামসহ রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।