নাটোরের লালপুর উপজেলা ইন্সট্রাক্টর আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে
নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ।
নাটোরের লালপুর উপজেলা ইন্সট্রাক্টর আনারুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে অসদাচরণ, অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অভিযোগ পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় লালপুর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) ইন্সট্রাক্টর আনারুল ইসলাম বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ইংরেজি বিষয়ভিত্তিক ট্রেনিংয়ে শিক্ষকদের জন্য ব্যাগ, কলম, নাস্তা ও ভাতাসহ নানা বরাদ্দের সঠিক বণ্টন না করায় অভিযোগ করেন উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে আনারুল ইসলাম ইন্সট্রাক্টর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ সহ শিক্ষকদের স্বাক্ষর সংগ্রহে নেতৃত্ব দেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,ইন্সট্রাক্টর আনারুল ইসলাম যোগদানের পরেই রিসোর্স সেন্টারটি বিভিন্ন অনিয়মের আখড়া হয়ে উঠেছে। তিনি ঠিকমত অফিসে আসেন না। এছাড়াও তিনি ট্রেনিংয়ে শিক্ষকদের প্রাপ্য টাকা সম্পূর্ণ দেন না। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে টাকা চাইলে তিনি বলেন মসজিদে ওই টাকা তিনি দান করে দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাঠপর্যায়ের একজন কর্মকর্তার এমন স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষকসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ ব্যাপারে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর আনারুল ইসলাম এর সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তাকে পাওয়া যায়নি । বিষয়টি নিয়ে নাটোরের প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) সুপারিনটেনডেন্ট এম.এইচ.এম.রুহুল-আমিন সাফাই গেয়ে বলেন তিনি খুব ভালো লোক । এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন ইন্সট্রাক্টর এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।